১৯৮২ সালে প্রথম উপজেলা পরিষদ গঠিত হয়৷ থানাগুলোকে উপজেলা নামে গণ্য করে সর্বত্র নির্বাচিত পরিষদের ব্যবস্থা করা হয় ৷ ১৯৯১ সালে উপজেলা পরিষদ বিলুপ্ত করা হয়৷ ১৯৯৮ সালে আবারও উপজেলা গঠনের জন্যে আইন প্রণয়ন করা হয় ৷ বর্তমানে উপজেলা পরিষদগুলো চালিত হওয়ার জন্যে যে আইনটি বলবত্ আছে তা হলো ১৯৯৮ সালের উপজেলা পরিষদ আইন৷ এই আইনের বিধান অনুযায়ী যতো শীঘ্র সম্ভব প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে উপজেলা পরিষদ স্থাপিত হবে৷ এই উপজেলা পরিষদ একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হবে এবং এর স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকবে এবং এই আইন ও বিধি সাপেক্ষে এর স্থাবর ও অস্থাবর সকল প্রকার সম্পত্তি অর্জন করার, অধিকারে রাখার এবং হস্তাস্তর করার ক্ষমতা থাকবে৷ উপজেলা পরিষদ এর নামে মামলা দায়ের করতে পারবে বা এর বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাবে৷ উপজেলা পরিষদের মেয়াদ হবে তার প্রথম সভায় মিলিত হবার তারিখ হতে পাঁচ বছর৷ তবে উক্ত মেয়াদ শেষ হবার পরেও নির্বাচিত নতুন পরিষদ প্রথম সভায় মিলিত না হওয়া পর্যন্ত পরিষদ কার্য চালিয়ে যেতে পারবে৷
উপজেলা পরিষদের গঠন-প্রকৃতি
উপজেলা পরিষদ গঠিত হবে একজন নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং কিছু সংখ্যক সদস্য নিয়ে৷ সংশ্লিষ্ট উপজেলার এলাকাভুক্ত প্রত্যেক পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি এই পরিষদের সদস্য হবেন৷ তাছাড়া মহিলাদের জন্যে কিছু সংরক্ষিত সদস্যপদ থাকবে, যার সংখ্যা হবে উপজেলার এলাকাভুক্ত ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভার মোট সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের সমান৷
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিধি অনুযায়ী ভোটারদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন৷ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে মনোনয়ন লাভ ও নির্বাচিত হওয়ার জন্যে প্রার্থীর যেসব যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে তা এইরূপ: তাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে, পঁচিশ বছর বয়সী হতে হবে ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্যে প্রস্তুতকৃত সে জেলার আপাতত: বলবত্ ভোটার তালিকায় তার নাম থাকতে হবে৷
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ নির্দিষ্ট কারণে অপসারণযোগ্য৷ কারণগুলো হলো: পরপর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকা, পরিষদ ও রাষ্ট্রের জন্যে ক্ষতিকর কার্যকলাপে জড়িত থাকা, দুর্নীতি ও অসদাচারণজনিত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়া, তার কৃত্য বা কর্তব্যকর্ম পালনে অস্বীকার করা বা অসমর্থ হওয়া, অসদাচারণ বা ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্যে দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং পরিষদের অর্থ বা সম্পত্তির ক্ষতি বা অপপ্রয়োগ করা৷
উপজলা পরিষদের কর্মকর্তা ও কর্মচারী
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিষদের সচিব হবেন৷ পরিষদের কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্যে পরিষদ সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মকর্তা ও কর্মচারী পদে বিধি অনুযায়ী নিয়োগ করতে পারেন৷ এই সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকুরির শর্তাদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হবে৷
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিধি অনুযায়ী ভোটারদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন৷ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে মনোনয়ন লাভ ও নির্বাচিত হওয়ার জন্যে প্রাথীর যেসব যোগ্যতা নিধারণ করা হয়েছে তা এইরূপ: তাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে, পঁচিশ বছর বয়সী হতে হবে ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্যে প্রস্তুতকৃত সে জেলার আপাতত: বলবত্ ভোটার তালিকায় তার নাম থাকতে হবে৷
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ নির্দিষ্ট কারণে অপসারণযোগ্য৷ কারণগুলো হলো: পরপর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকা, পরিষদ ও রাষ্ট্রের জন্যে ক্ষতিকর কার্যকলাপে জড়িত থাকা, দুনীতি ও অসদাচারণজনিত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়া, তার কৃত্য বা কর্তব্যকর্ম পালনে অস্বীকার করা বা অসমর্থ হওয়া, অসদাচারণ বা ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্যে দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং পরিষদের অর্থ বা সম্পত্তির ক্ষতি বা অপপ্রয়োগ করা৷
উপজেলা পরিষদের নির্বাহী ক্ষমতা ও কার্যাবলী
উপজেলা পরিষদের নির্বাহী ক্ষমতা ও কার্যাবলী
পরিষদের কর্তব্যসমুহ যথাযথভাবে সম্পন্ন করার জন্যে যা যা করা দরকার তা সবই চেয়ারম্যান নিজে কিংবা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাধ্যমে করবেন ৷ পরিষদের নির্বাহী বা অন্য কোনো কার্য পরিষদের নামে গৃহীত হয়েছে বলে প্রকাশ করা হবে৷
উপজেলা পরিষদের বিধি দ্বারা নির্ধারিত কার্যাবলী সম্পাদনের জন্যে পরিষদ প্রয়োজনীয় সংখ্যক কমিটি, উহার সদস্য সংখ্যা, দায়িত্ব ও কার্যধারা নির্ধারণ করতে পারবেন৷ পরিষদ নিচের বিষয়ে একটি করিয়া স্থায়ী কমিটি গঠন করবেঃ
(ক) আইন শৃঙ্খলা;
(খ) স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা;
(গ) কৃষি, সেচ ও পরিবেশ;
(ঘ) শিক্ষা কমিটি;
(ঙ) সমাজকল্যাণ, মহিলা ও শিশু উন্নয়ন;
(চ) ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও যুব উন্নয়ন;
(ছ) যোগাযোগ ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন৷
উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ এর দ্বিতীয় তফসিল অনুযায়ী উপজেলা পরিষদের কার্যাবলী নিম্নরূপ:
১) পাঁচসালা ও বিভিন্ন মেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরী করা৷
২) পরিষদের নিকট হস্তান্তরিত বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মসূচী বাস্তবায়ন এবং উক্ত দপ্তরের কাজকর্মসমূহের তত্বাবধান সমন্বয় করা৷
৩) আন্তঃ ইউনিয়ন সংযোগকারী রাস্তা নির্মাণ, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা ৷
৪) ভূ-উপরিস্থ পানি সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্যে সরকারের নির্দেশনা অনুসারে উপজেলা পরিষদ ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন৷
৫) জনস্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পণা সেবা নিশ্চিতকরণ৷
৬) স্যানিটেশন ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতি সাধন এবং সুপেয় পানীয় জলের সরবরাহ ব্যবস্থা গ্রহণ৷
৭) (ক) উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষা প্রসারের জন্যে উদ্বুদ্ধকরণ এবং সাহায্য প্রদান৷ (খ) মাধ্যমিক শিক্ষা এবং মাদ্রাসা শিক্ষা কার্যক্রমের মান উন্নয়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলি কার্যক্রম তদারকী ও তাদের সাহায্য প্রদান৷
৮) কুটির ও ক্ষুদ্র শিল্প স্থাপন ও বিকাশের লক্ষ্যে কার্যক্রমের গ্রহণ৷
৯) সমবায় সমিতি ও বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের কাজে সহায়তা প্রদান এবং তাদের কাজের সমন্বয় সাধন৷
১০) মহিলা, শিশু, সমাজকল্যাণ এবং যুব, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান এবং বাস্তবায়ন করা৷
১১) কৃষি, গবাদি পশু, মত্স এবং বনজ সম্পদ উন্নয়নে কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন৷
১২) উপজেলায় আইন শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়নসহ পুলিশ বিভাগের কার্যক্রম আলোচনা এবং নিয়মিতভাবেউধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন প্রেরণ৷
১৩) আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দারিদ্র বিমোচনের জন্যে নিজ উদ্যোগে কর্মসূচী গ্রহণ, বাস্তবায়ন এবং এ সম্পর্কে সরকারী কর্মসূচী বাস্তবায়নে সরকারকে প্রয়েজনীয় সাহায্য প্রদান৷
১৪) ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন ও পরীক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান৷
১৫) নারী ও শিশু নির্যাতন ইত্যাদি অপরাধে সংগঠিত হওয়ার বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টিসহ অন্যান্য প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম গ্রহণ৷
১৬) সন্ত্রাস, চুরি, ডাকাতি, চোরাচালান, মাদক দ্রব্য ব্যবহার ইত্যাদি অপরাধ সংঘটিত হওয়ার বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টিসহ অন্যন্য প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম গ্রহণ৷
১৭) পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সামাজিক বনায়নসহ অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ৷
১৮) সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে প্রদত্ত অন্যন্য কার্যাবলী৷
উপজেলা পরিষদের বিধি দ্বারা নির্ধারিত কার্যাবলী সম্পাদনের জন্যে পরিষদ প্রয়োজনীয় সংখ্যক কমিটি, উহার সদস্য সংখ্যা, দায়িত্ব ও কার্যধারা নির্ধারণ করতে পারবেন৷ পরিষদ নিচের বিষয়ে একটি করিয়া স্থায়ী কমিটি গঠন করবেঃ
(ক) আইন শৃঙ্খলা;
(খ) স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা;
(গ) কৃষি, সেচ ও পরিবেশ;
(ঘ) শিক্ষা কমিটি;
(ঙ) সমাজকল্যাণ, মহিলা ও শিশু উন্নয়ন;
(চ) ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও যুব উন্নয়ন;
(ছ) যোগাযোগ ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন৷
উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ এর দ্বিতীয় তফসিল অনুযায়ী উপজেলা পরিষদের কার্যাবলী নিম্নরূপ:
১) পাঁচসালা ও বিভিন্ন মেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরী করা৷
২) পরিষদের নিকট হস্তান্তরিত বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মসূচী বাস্তবায়ন এবং উক্ত দপ্তরের কাজকর্মসমূহের তত্বাবধান সমন্বয় করা৷
৩) আন্তঃ ইউনিয়ন সংযোগকারী রাস্তা নির্মাণ, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা ৷
৪) ভূ-উপরিস্থ পানি সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্যে সরকারের নির্দেশনা অনুসারে উপজেলা পরিষদ ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন৷
৫) জনস্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পণা সেবা নিশ্চিতকরণ৷
৬) স্যানিটেশন ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতি সাধন এবং সুপেয় পানীয় জলের সরবরাহ ব্যবস্থা গ্রহণ৷
৭) (ক) উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষা প্রসারের জন্যে উদ্বুদ্ধকরণ এবং সাহায্য প্রদান৷ (খ) মাধ্যমিক শিক্ষা এবং মাদ্রাসা শিক্ষা কার্যক্রমের মান উন্নয়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলি কার্যক্রম তদারকী ও তাদের সাহায্য প্রদান৷
৮) কুটির ও ক্ষুদ্র শিল্প স্থাপন ও বিকাশের লক্ষ্যে কার্যক্রমের গ্রহণ৷
৯) সমবায় সমিতি ও বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের কাজে সহায়তা প্রদান এবং তাদের কাজের সমন্বয় সাধন৷
১০) মহিলা, শিশু, সমাজকল্যাণ এবং যুব, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান এবং বাস্তবায়ন করা৷
১১) কৃষি, গবাদি পশু, মত্স এবং বনজ সম্পদ উন্নয়নে কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন৷
১২) উপজেলায় আইন শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়নসহ পুলিশ বিভাগের কার্যক্রম আলোচনা এবং নিয়মিতভাবেউধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন প্রেরণ৷
১৩) আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দারিদ্র বিমোচনের জন্যে নিজ উদ্যোগে কর্মসূচী গ্রহণ, বাস্তবায়ন এবং এ সম্পর্কে সরকারী কর্মসূচী বাস্তবায়নে সরকারকে প্রয়েজনীয় সাহায্য প্রদান৷
১৪) ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন ও পরীক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান৷
১৫) নারী ও শিশু নির্যাতন ইত্যাদি অপরাধে সংগঠিত হওয়ার বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টিসহ অন্যান্য প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম গ্রহণ৷
১৬) সন্ত্রাস, চুরি, ডাকাতি, চোরাচালান, মাদক দ্রব্য ব্যবহার ইত্যাদি অপরাধ সংঘটিত হওয়ার বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টিসহ অন্যন্য প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম গ্রহণ৷
১৭) পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সামাজিক বনায়নসহ অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ৷
১৮) সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে প্রদত্ত অন্যন্য কার্যাবলী৷
উপজেলা পরিষদ তহবিল ও বাজেট উপজেলা পরিষদের একটি তহবিল থাকবে যার মধ্যে জমা হবে পরিষদের সকল প্রকার আয়৷ এই তহবিলের অর্থ বিভিন্ন নির্দিষ্ট খাতে ব্যয় করা হবে৷ পরিষদের প্রতি বছর একটি বাজেট থাকবে৷ এই বাজেট প্রণয়নেরও একটি প্রক্রিয়া আছে৷ অর্থ বছরের শুরুর দু মাস আগে তা বানিয়ে সর্বসাধারণের প্রকাশ করতে হবে৷ তারপর তাদের মন্তব্য এবং সুপারিশের বিবেচনা করে একমাস আগে তা অনুমোদন করতে হবে৷ এই বাজেটের অনুলিপি যাবে সরকারে এবং জেলা প্রশাসনে৷ সরকার পনেরো দিনের মধ্যে বাজেট সংশোধন করতে পারবেন ৷ পরিষদ তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে সরকার তা পূরণ করবে৷ বাজেটে আয় ব্যয়, প্রাপ্তি বরাদ্দ ইত্যাদির প্রাক্কলিত বিররণ থাকবে৷ পরিষদের বাজেট অনুযায়ী এই আয় ব্যয়ের যথাযথ হিসাব বিবরণী সংরক্ষণ করা হয়৷ এই হিসাব বিবরনী নিরীক্ষা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিরীক্ষিত হয়৷
উপজেলা পরিষদের আয়ের উত্স পরিষদ উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮ ( ১৯৯৮ সালের ২৪ নং আইন) এর চতুর্থ তফসিলে উল্লেখিত সকল বা যে কোনো কর, রেইট, টোল এবং ফিস নির্ধারিত পদ্ধতিতে আরোপ করতে পারবে৷ এভাবে আয়ের উত্সগুলো হলো:
(১) উপজেলার আওতাভুক্ত এলাকায় অবস্থিত সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হাট বাজার, হস্তান্তরিত জলমহল ও ফেরীঘাট হইতে ইজারালদ্ধ আয়৷
(২) যে সকল উপজেলায় পৌরসভা গঠিত হয় নি, সেখানে সীমানা নির্ধারণপূর্বক উক্ত সীমানা বা থানা সদরের মধ্যে অবস্থিত ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানার উপর ধার্যকৃত কর৷
(৩) যে সকল উপজেলায় পৌরসভা নেই সেখানে থানা সদরে অবস্থিত সিনেমা হলের উপর কর; নাটক, থিয়েটার বা যাত্রার উপর নির্ধারিত কর৷
(৪) রাস্তা আলোকিতকরণের উপর কর৷
(৫) বেসরকারিভাবে আয়োজিত মেলা, প্রদর্শনী ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের উপর ধার্যকৃত ফি৷
(৬) ইউনিয়ন পরিষদের নির্ধারিত খাত এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলার আওতা বহিভূর্ত খাত ব্যতীত বিভিন্ন ব্যবসা,বৃত্তি ও পেশার উপর পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত লাইসেন্স ও পারমিটের উপর ধার্যকৃত ফি৷
(৭) পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত সেবার উপর ধার্যকৃত ফি ইত্যাদি৷
(৮) উপজেলার এলাকাভুক্ত সম্পত্তি হস্তান্তর বাবদ আদায়কৃত রেজিষ্ট্রেশন ফিসের ১% এবং আদায়কৃত ভূমি উন্নয়ন করের ২% অংশ৷
(৯) সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে নির্দেশিত অন্য কোনো খাতের উপর আরোপিত কর, রেইট, টোল, ফিস বা অন্য কোনো উত্স হতে অর্জিত আয়৷
উপজেলা পরিষদ বাতিলকরণ যদি প্রয়োজনীয় তদন্তের পর সরকার এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, পরিষদ-
(ক) তার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ অথবা ক্রমাগতভাবে তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে;
(খ) তার প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালনে অসমর্থ;
(গ) সাধারণত: এইরকম কাজ করে যা জনস্বার্থ বিরোধী;
(ঘ) অন্য কোনোভাবে তার ক্ষমতার সীমা লংঘন বা ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে বা করছে ।
তাহলে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রকাশিত আদেশ দ্বারা উক্ত পরিষদকে বাতিল করতে পারে৷ তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত আদেশ প্রদানের পূর্বে পরিষদকে তার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর সুযোগ প্রদান করতে পারবে৷
উপজেলা পরিষদ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে নিচে উল্লেখিত আইনগুলো ও বিধিগুলো দেখতে পারেন:
১. উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ ( ১৯৯৮ সালের ২৪ নং আইন)
২. উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন) বিধিমালা, ১৯৯৯
তাছাড়া নিচের বইগুলো থেকেও সাহায্য পেতে পারেন:
১. জেলায় জেলায় সরকার, আবুল মাল আবদুল মুহিত, ইউনিভারসিটি প্রেস লিঃ, ২০০২
২. Local People’s Institution, Biswajit Mallick, A H Development Publishing House,2004
৩. স্থানীয় সরকার এবং সাংবাদিকতা, এ আর ডি পাবলিকেশন, ডিসেম্বর ২০০৩
৪. বাংলাদেশে জেলা প্রশাসন, কাজী আজহার আলী, সূচীপত্র প্রকাশনী, ২০০৩
No comments:
Post a Comment